ক্লোরিন অপেক্ষা ফ্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি কম-ব্যাখ্যা কর ।

সাধারণত পর্যায় সারণীতে একই শ্রেণীতে উপর হতে যতই নিচের দিকে যাওয়া যায় ইলেকট্রন আসক্তি ততই হ্রাস পায়। এই নিয়মানুসারে ক্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি ফ্লোরিন অপেক্ষা বেশি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পরীক্ষালব্ধ ফলাফল হতে দেখা যায় যে, ক্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি (348.8 kJ/mole) অপেক্ষা ফ্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি (328.8 kJ/mole) কম।

ফ্লোরিন পরমাণুর আকার ছোট হওয়ার ফলে এর ভিতরের ইলেকট্রন মেঘ ফ্লোরিন পরমাণুতে আগমনকারী ইলেকট্রন যুক্ত করতে বাধা দেয়। ফলে এক্ষেত্রে ইলেকট্রন যুক্ত করতে কিছুটা শক্তি শোষিত হয়। তাই F- আয়ন উৎপন্ন হতে কম শক্তি শোষিত হয়। অর্থাৎ F- আয়ন উৎপন্ন হতে কম পরিমাণ শক্তি মুক্ত হয় । সহজ কথায় ফ্লোরিন পরমাণুর ইলেকট্রন অসক্তির মান কমে যায়।

অন্যদিকে, ক্লোরিন পরমাণুর আকার বড় হওয়ার কারণে এর ভিতরের ইলেকট্রন মেঘ ক্লোরিন পরমাণুতে আগমনকারী ইলেকট্রন যুক্ত করতে বাধা প্রদান করে না অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিকর্ষণ বল এতটা কার্যকরী হয় না। তাই Cl- আয়ন গঠনে বেশি শক্তি শোষিত হয়। অর্থাৎ CI- আয়ন উৎপন্ন F- আয়নের তুলনায় বেশি পরিমাণ শক্তি মুক্ত করে। ফলে ক্লোরিন পরমাণুর ইলেকট্রন আসক্তির মান ফ্লোরিনের তুলনায় বেশী হয় । সুতরাং “ফ্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি ক্লোরিনের চেয়ে কম” ।

Read English version-

Why Fluorine has less electron affinity than chlorine?

ইলেকট্রন আসক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন –

ইলেকট্রন আসক্তি ও তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য কি?