ইলেকট্রন আসক্তি ও তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য কি?
ইলেকট্রন আসক্তি ও তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য নিচের টেবিলে দেয়া হল
ইলেকট্রন আসক্তি | তড়িৎ ঋণাত্মকতা |
১. সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে স্থিত কোনো বিচ্ছিন্ন গ্যাসীয় পরমাণুতে ১টি অতিরিক্ত ইলেকট্রন যুক্ত করার ফলে নির্গত শক্তির পরিমাণ কে ইলেকট্রন আসক্তি বলে। | ১. সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ অবস্থায় কোনো মৌলের পরমাণুর বন্ধন সৃষ্টিকারী ইলেকট্রন জোড়কে আকর্ষণ করার প্রবণতাকে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে। |
২. এটি বিচ্ছিন্ন পরমাণুর ধর্ম। | ২. এটি সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ পরমাণুর ধর্ম । |
৩. ইলেকট্রন-ভোল্ট (পরমাণু প্রতি) বা কিলোক্যালরি/ মোল বা কিলোজুল মোল এককে প্রকাশ করা হয়। | ৩. এর কোনো একক নেই। বিভিন্ন স্কেলে সংখ্যার সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। |
৪. একটি নির্দিষ্ট মৌলের ইলেকট্রন-আসক্তির মান নির্দিষ্ট। | ৪. কোনো নির্দিষ্ট মৌলের পরমাণু কীরূপ জারণ অবস্থায় আছে বা কীরূপ সংকরায়ণ অবস্থায় আছে তার উপর তড়িৎ-ঋণাত্মকতার মান নির্ভর করে। যেমন, কার্বনের ক্ষেত্রে তড়িৎ-ঋণাত্মকতার ক্রম হলো: sp3-C> sp2-C> sp-C |
৫. কোনো মৌলের পরমাণুর অ্যানায়ন গঠনের প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। | . সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ দুটি পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য সংশ্লিষ্ট বন্ধনের পোলারিটি সম্পর্কে ধারণা দেয় । |
৬. পর্যায় বা গ্রুপ বরাবর ইলেকট্রন আসক্তির পরিবর্তন অনেক ক্ষেত্রেই অনিয়মিত (irregular)। | ৬. পর্যায় বা গ্রুপ বরাবর তড়িৎ-ঋণাত্মকতার পরিবর্তন প্রায় নিয়মিত (regular)। |
ইলেকট্রন আসক্তি ও তড়িৎ ঋণাত্মকতা সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন-
ক্লোরিন অপেক্ষা ফ্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি কম-ব্যাখ্যা কর ।