ভাজক টিস্যু ও স্থায়ী টিস্যুর মধ্যে পার্থক্য লিখ

ভাজক টিস্যু ও স্থায়ী টিস্যুর মধ্যে পার্থক্য

ভাজক টিস্যুস্থায়ী টিস্যুর
উদ্ভিদের জণাবস্থাতেই প্রাথমিক ভাজক টিস্যুর জন্ম হয়। কাজেই এ টিস্যু উদ্ভিদ দেহের আদি টিস্যু।ভাজক টিস্যু থেকেই স্থায়ী টিস্যুর জন্ম হয়। কাজেই এ টিস্যু কখনই আদি টিস্যু নয়।
এ টিস্যুর কোষগুলো বিভাজনে সক্ষম।এ টিস্যুর কোষগুলো বিভাজনে অক্ষম।
এ টিস্যুর কোষগুলো অপরিণত।এ টিস্যুর কোষগুলো পরিণত।
প্রাথমিক ভাজক টিস্যুর অবস্থান উদ্ভিদের বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে।বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে স্থায়ী টিস্যু থাকে না। বর্ধিষ্ণু অঞ্চলের পেছনে এদের অবস্থান। কোষের নিউক্লিয়াস আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট।
কোষের নিউক্লিয়াস আকারে বড়।নিউক্লিয়াস কোষের এক পার্শ্বে অবস্থান করে এবং
নিউক্লিয়াস কোষের কেন্দ্রে অবস্থান করে এবং সাইটোপ্লাজম ঘনীভূত অবস্থায় থাকে।সাইটোপ্লাজম ততটা ঘনীভূত অবস্থায় থাকে না।
এ টিস্যু উদ্ভিদ দেহের বৃদ্ধি সাধন করে।উদ্ভিদ দেহের বৃদ্ধিতে এ টিস্যুর ভূমিকা কম।
যান্ত্রিক কাজে এ টিস্যুর ভূমিকা সামান্য।এ টিস্যু উদ্ভিদ দেহের যান্ত্রিক দৃঢ়তা বাড়ায়।
এ টিস্যু কখনো খাদ্য তৈরি করে না।ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত স্থায়ী টিস্যু খাদ্য তৈরি করে।
খাদ্য পরিবহনে এ টিস্যুর কোন ভূমিকা নেই।ভাস্কুলার বান্ডল গঠনকারী জাইলেম ও ফ্লোয়েম নামক স্থায়ী টিস্যু যথাক্রমে পানি ও উৎপাদিত খাদ্য পরিবহন করে।
এ টিস্যুতে কখনো কোষাবকাশ থাকে না।এ টিস্যুতে সাধারণত কোষাবকাশ থাকে।

ভাজক টিস্যু সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন –

ভাজক টিস্যুর বৈশিষ্ট্য লিখ