পোলারিটি ও পোলারায়ন এর মধ্যে পার্থক্য কি

পোলারিটি ও পোলারায়ন এর মধ্যে পার্থক্য নিচে দেয়া হয়-

পোলারিটিপোলারায়ন
১. যদি সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ দুটি পরমাণুর মধ্যে তড়িৎঋণাত্মকতার পার্থক্য থাকে, তবে অধিক তড়িৎঋণাত্মক পরমাণুটির আকর্ষণে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন জোড়া তার দিকে আংশিকভাবে স্থানান্তরিত হয়। ফলে অধিক তড়িৎঋনাত্মক পরমাণুটি আংশিক ঋণাত্মক চার্জ এবং অপর পরমাণু আংশিক ধনাত্মক চার্জ লাভ করে। এভাবে সমযোজী বন্ধনে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক মেরু সৃষ্টির বিষয়কে সমযোজী বন্ধনের মেরু প্রবণতা বা মেরুকত্ববা পোলারিটি বলে।তড়িৎযোজী যৌগে দুটি বিপরীত চার্জযুক্ত আয়ন পরস্পরের কাছাকাছি আসলে ক্যাটায়নের ধনাত্মক চার্জ অ্যানায়নের ঋণাত্মক ইলেকট্রন মেঘকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। ফলে সুষম এ ইলেকট্রন মেঘ একটু বিকৃত হয়ে ক্যাটায়নের দিকে আংশিক স্থানান্তরিত হয় এবং দুই আয়নের নিউক্লিয়াসদ্বয়ের মাঝামাঝি স্থানে কিছুটা পরিব্যাপ্ত হয়। ইলেকট্রন মেঘের এ আংশিক স্থানান্তরকে পোলারায়ন (Polarization) বলে।
২. পোলারিটি সমযোজী যৌগে দেখা যায়।২. পোলারায়ন আয়নিক যৌগে দেখা যায়।
৩. সমযোজী যৌগের পরমানু সমূহের তড়িৎ ঋনাত্মকতার পার্থক্য যত বেশী হয় যৌগটি তত বেশী পোলার হয়।৩. আয়নিক যৌগের পরমানু সমূহের তড়িৎ ঋনাত্মকতার পার্থক্যের উপর পোলারায়ন নির্ভর করে না।
৪. পরমানুর আকারের উপর পোলারিটি নির্ভর করে না।.৪. ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের আকারের উপর পোলারায়ন নির্ভর করে।
৫. পরমানুতে d বা f অর্বিটালে ইলেক্ট্রনের উপস্থিতির উপর পোলারিটি নির্ভর করে না।৫. অ্যানায়নে d বা f অর্বিটালে ইলেক্ট্রনের উপস্থিতির উপর পোলারিটি নির্ভর করে।
৬. পোলারিটিকে সমযোজী বন্ধনের আয়নিক বৈশিষ্ট্য বলে। .৬. পোলারায়নকে আয়নিক বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্য বলে।