একমালিকানা ব্যবসায় কি?
মুনাফা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে যখন কোনো ব্যক্তি নিজ দায়িত্বে মূলধন যোগাড় করে কোনো ব্যবসা গঠন ও পরিচালনা করে এবং উক্ত ব্যবসায়ে অর্জিত সকল লাভ নিজে ভোগ করে বা ক্ষতি হলে নিজেই তা বহন করে, তখন তাকে একমালিকানা ব্যবসায় বলে।
একমালিকানা ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য
- এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করা খুবই সহজ ও সরল। যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো সময়ে এ প্রকার কারবার গঠন করতে পারে। এরূপ কারবার স্থাপন করার জন্য সরকারি আইন ও নিয়মের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না।
- এ জাতীয় ব্যবসায়ের মূলধন মালিক নিজেই সরবরাহ করে। সে নিজস্ব সঞ্চয় হতে মূলধনের সংস্থান করতে পারে অথবা প্রয়োজন হলে নিজের দায়িত্বে অপরের নিকট হতে ঋণ করে মূলধনের অভাব পূরণ করতে পারে।
- ব্যবসায়ের সকল ঝুঁকি মালিক একাই বহন করে। মালিকই ব্যবসায়ের প্রকৃত অধিকারী । সুতরাং ব্যবসায়ের সমস্ত ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা বহন করতে হয়। তাকেই
- ব্যবসায় পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব হলো মালিকের। অবশ্য মালিক স্বয়ং ব্যবস্থাপনার নীতি ও পদ্ধতি নির্ধারণ করে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের প্রত্যক্ষ পরিচালনার দায়িত্ব কর্মচারীর উপর ছেড়ে দিতে পারে।
- ব্যবসায়ের আয়তন ক্ষুদ্র হওয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে কাউকে ডাকতে হয় না। মালিক যেকোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
- এরূপ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের একক কর্তৃত্বের অধিকারী হওয়ায় যেকোনো বিষয়ে সে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এজন্য এ ধরনের ব্যবসায়ে অধিকতর নমনীয়তা লক্ষ্য করা যায়।
- একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক নিজেই ব্যবসায় পরিচালনা করে বিধায় ক্রেতা, সরবরাহকারি, কর্মচারী ইত্যাদি পক্ষের সাথে তার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাই প্রত্যক্ষ সম্পর্ক যেখানে ব্যবসায়িক স্বার্থে অত্যাবশ্যক, সেখানে এ ধরনের ব্যবসায়ই সর্বাপেক্ষা উত্তম।
- এরূপ ব্যবসায়ের কোনো আইনগত পৃথক সত্তা নেই। কারবার হতে মালিককে পৃথক করে দেখা হয় না ।
- এরূপ ব্যবসায়ের স্থায়িত্ব মালিকের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। মালিক ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় ব্যবসায় গুটিয়ে ফেলতে পারে। আবার ইচ্ছা করলে যতদিন খুশি ততদিন পর্যন্ত সে কারবার চালু রাখতে পারে।
- হিসাব তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। মালিক তার নিজের মতো করে হিসাব সংরক্ষণ করতে পারে। তাই এক্ষেত্রে একতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাব রাখা হয়।