লুইস এসিড ও ক্ষার কি?

লুইস অ্যাসিড 

যে সকল পদার্থ একজোড়া ইলেকট্রন গ্রহণ করতে পারে তাদের লুইস অ্যাসিড বলা হয় যেমন বোরন ট্রাই ফ্লোরাইড (BF3) একজোড়া ইলেকট্রন গ্রহণ করতে পারে সুতরাং এটি একটি লুইস এসিড। 

লুইস ক্ষার

যে সকল পদার্থ একজোড়া ইলেকট্রন দান করতে পারে তাদের লুইস ক্ষার বলে। যেমন অ্যামোনিয়া একটি লুইস ক্ষার। অ্যামোনিয়ার নাইট্রোজেনের উপর এক জোড়া মুক্তজোড়ে ইলেকট্রন থাকে যা সে বিক্রিয়ার সময় অন্য একটি ইলেকট্রন ঘাটতি পদার্থকে প্রদান করে ফলে এটি একটি লুইস ক্ষার হিসেবে বিবেচিত হয়। 

লুইস অ্যাসিড ও ক্ষারের প্রকারভেদ

ইলেকট্রন ঘাটতি যৌগ

যে সকল পদার্থের সর্বশেষ স্তরে অষ্টক সংকোচন ঘটে সে সকল পদার্থ লুইস এসিড হিসেবে কাজ করে। 

যেমন অ্যালুমিনিয়াম ট্রাইফ্লোরাইডে অষ্টক সংকোচন ঘটে অর্থাৎ অ্যালুমিনিয়ামের সর্বশেষ স্তরে ছয়টি ইলেকট্রন থাকে এবং এটি আরো একজোড়া ইলেকট্রন গ্রহণ করতে পারে। সুতরাং অ্যালুমিনিয়াম ট্রাই ক্লোরাইড একটি লুইস অ্যাসিড। 

এ ধরনের অষ্টক সংকোচন যুক্ত আরো কিছু যৌগ হল অ্যালুমিনিয়াম ট্রাইক্লোরাইড, AlCl3, বোরন ট্রাই ক্লোরাইড, BCl3। 

আয়নসমূহ

ধাতব আইন সমূহ ইলেকট্রনের ঘাটতি থাকে অর্থাৎ এরা ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়ন পরিণত হয় ফলে এরা ইলেকট্রন গ্রহণ করতে পারে এজন্য এরা লুইস এসিড হিসেবে বিবেচিত হয়। যেমন ক্যালসিয়াম আয়ন একজোড়া ইলেকট্রন গ্রহণ করতে পারে ফলে তারা লুইস এসিড হিসেবে বিবেচিত হয়। 

অন্যদিকে অ্যানায়ন সমূহ ইলেকট্রন প্রদান করতে পারে ফলে তারা লুইস ক্ষার হিসেবে বিবেচিত হয়।  যেমন সালফেট আয়ন, ক্লোরাইড আয়ন ইত্যাদি। 

দ্বিবন্ধন যুক্ত যৌগসমূহ

কার্বন কার্বন নিবন্ধন যুক্ত বা ত্রিবন্ধন যুক্ত যৌগসমূহ ইলেকট্রন দান করতে পারে ফলে এরা লুইস ক্ষার  হিসেবে বিবেচিত হয়। আবার সালফার ডাই অক্সাইডে দ্বিবন্ধন থাকলেও এরা পানির থেকে এক জোড়া ইলেকট্রন গ্রহণ করতে পারে ফলে লুইস এসিড হিসেবে বিবেচিত হয়।