কার্বন ও সিলিকনের ধর্মের মধ্যে তুলনা কর।
কার্বন ও সিলিকন উভয় মৌলই পর্যায় সারনীতে একই গ্রুপ ভুক্ত হওয়ায় এদের ধর্মে যেমন অনেক সাদৃশ্য পাওয়া যায় তেমনি এদের ধর্মে অনেক বৈসাদৃশ্যও লক্ষ্য করা যায়। নিচে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য গুলো দেয়া হল-
সাদৃশ্য
১. কার্বন ও সিলিকন উভয়ের উভয়ের যোজ্যতা স্তরের চারটি করে ইলেকট্রন রয়েছে অতএব গ্রুপ IVA তে অবস্থান করে।
২. কার্বন এবং সিলিকন উভয়কে প্রকৃতিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় উভয়ই বহুরূপতা প্রদর্শন করে।
৩. কার্বন এবং সিলিকন জারণ সংখ্যা 4 প্রদর্শন করে।
৪. কার্বন এবং সিলিকন উভয়ই হাইড্রাইড গঠন করে।
৫. কার্বন এবং সিলিকন কে উত্তপ্ত করলে অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
৬. কার্বন এবং সিলিকন উভয়ের অক্সাইড অম্লধর্মী অক্সাইড প্রত্যেকেই ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
৭. কার্বন এবং সিলিকন কোনোটিই এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে না।
বৈসাদৃশ্য
১. কার্বনের সমযোজ্যতা 4 কিন্তু সিলিকনের সমযোজ্যতা 6।
২. কার্বন ক্যাটিনেশন ধর্ম রয়েছে যেখানে সিলিকনের ক্যাটিনেশন ক্ষমতা খুবই সীমিত।
৩. কার্বন-ডাই-অক্সাইড একটি গ্যাসীয় মৌল কিন্তু সিলিকন ডাই অক্সাইড একটি কঠিন পদার্থ।
৪. কার্বন উচ্চ তাপমাত্রায় নাইট্রোজেন এর সাথে যুক্ত হয় কিন্তু সিলিকন এধরনের বিক্রিয়া প্রদর্শন করে না।
৫. কার্বন ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে না কিন্তু সিলিকন ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে সিলিকেট তৈরি করে।
৬. কার্বনের হাইড্রাইড গুলো সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত হতে পারে কিন্তু সিলিকনের হাইড্রাইড গুলো সর্বদাই সম্পৃক্ত হয়।
৭. কার্বন জটিল যৌগ গঠন করে না কিন্তু সিলিকনের ফাঁকা d অর্বিটাল থাকায় জটিল যৌগ গঠন করে।
৮. কার্বনের জৈব যৌগ সমানুতা প্রদর্শন করতে পারে কিন্তু সিলিকনের কোন যৌগ সমানুতা প্রদর্শন করে না।
৯. কার্বনের সাধারণ যৌগগুলো সাধারণত স্থায়ী হয় অন্যদিকে সিলিকনের হ্যালাইড ও পলিমার ছাড়া বাকি যৌগগুলো বিযোজিত হয় অর্থাৎ স্থায়ী না।
১০। কার্বনের হ্যালাইড সমূহ আর্দ্র বিশ্লেষিত হয় না কিন্তু সিলিকনের হ্যালাইড সমূহ সহজেই আর্দ্র বিশ্লেষিত হয়।