ইলেকট্রোফাইল বা ইলেকট্রোফিলিক বিকারক এবং নিউক্লিওফাইল বা নিউক্লিওফিলিক বিকারক কি?
ইলেকট্রোফাইল বা ইলেকট্রোফিলিক বিকারক (Electrophiles or Electrophilic Reagents)
ইলেকট্রন সল্পতাসম্পন্ন কোনো পরমাণু বা গ্রুপকে ইলেকট্রোফাইল বিকারক বলা হয়। এসব বিকারকের ক্ষেত্রে কোনো পরমাণুতে ইলেকট্রন ঘাটতি বা শূন্য অরবিটাল বর্তমান থাকে।
ইলেকট্রন ঘাটতি বা শূন্য অরবিটালবিশিষ্ট বিকারক, বিক্রিয়াকারী পদার্থের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ঘনত্ব যুক্ত স্থানে আক্রমণ করে এবং বিক্রিয়কের সক্রিয় ইলেকট্রন জোড় গ্রহণ করে তার সাথে সমযোজী বন্ধনে যুক্ত হয়।
সাধারণত এ বিকারকগুলো ধনাত্মক আধানযুক্ত অথবা প্রশম হয়। এদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো পরমাণুর অন্ততপক্ষে একটি করে শূন্য বা ইলেকট্রন ঘাটতি অরবিটাল বর্তমান থাকে এবং এরা প্রত্যেকেই ইলেকট্রন জোড়ের প্রতি খুবই সক্রিয় ও আসক্ত। উদাহরণস্বরূপ :
ধনাত্মক আধান যুক্ত ইলেকট্রোফাইল: H+, H3O+, R3C+ (কার্বোক্যাটায়ন), ইত্যাদি।
প্রশম ইলেকট্রোফাইল: BF3, BCI3, AICl3, FeCl3 ইত্যাদি।
নিউক্লিওফাইল বা নিউক্লিওফিলিক বিকারক
কোনো পরমাণুতে অন্ততপক্ষ একটি নিঃসঙ্গ ইলেকট্রন জোড় বর্তমান তাদেরকে নিউক্লিওফাইল বা নিউক্লিওফিলিক বিকারক বলা হয়। এ বিকারকগুলোর মধ্যে নিঃসঙ্গ ইলেকট্রন জোড় বর্তমান থাকায় এদের ইলেকট্রন ঘনত্ব বেশি হয়।
এরা অতিসহজে ধনাত্মক আধানযুক্ত মূলক বা ইলেকট্রন শূন্য অরবিটালে অথবা বিক্রিয়াকারী অণুর সবচেয়ে কম ইলেকট্রন ঘনত্ব বিশিষ্ট কেন্দ্রে আক্রমণ করে। এরা ইলেকট্রন দান করে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়। নিউক্লিওফাইল ঋণাত্মক আধানযুক্ত অথবা প্রশম হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ :
ঋণাত্মক আধানযুক্ত নিউক্লিওফাইল: Cl–, Br–, CN–, RCO2– , R3C– (কার্বানায়ন) ইত্যাদি।
প্রশম নিউক্লিওফাইল: R-NH2, H2O, NH3 ইত্যাদি।