Riccia-র অভ্যন্তরীণ গঠন বর্ণনা কর

Riccia-র অভ্যন্তরীণ গঠন (থ্যালাসের প্রন্থচ্ছেদ)

প্রন্থচ্ছেদে থ্যালাসকে তিনটি পৃথক অঞ্চলে বিভক্ত দেখা যায়:

  1. উপরের দিকে ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত ফটোসিনথেটিক বা আত্তীকরণ অঞ্চল,
  2. নিচের দিকে বর্ণহীন সঞ্চয়ী অঞ্চল এবং
  3. নিম্নত্বক।

ফটোসিনথেটিক বা আত্তীকরণ অঞ্চল

থ্যালাসের উপরের দিকে ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত খাড়া কোষের সারি নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত। এই অঞ্চলে ফটোসিনথেসিস হয় এবং খাদ্য তৈরি হয়।

ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত এ সারিগুলোকে আত্তীকরণ সূত্র (assimilatory filament) বলে। এসব আত্তীকরণ সূত্রের মধ্যবর্তী সরু ও লম্বা নালীর ন্যায় বায়ুপূর্ণ স্থানকে বায়ু প্রকোষ্ঠ (air chamber) বলে। প্রতিটি বায়ু প্রকোষ্ঠ একটি ছিদ্রপথে বাইরের সাথে উন্মুক্ত থাকে। এ ছিদ্রপথকে বায়ুছিদ্র (air pore) বলে।

Riccia-র অভ্যন্তরীণ গঠন বর্ণনা কর

আত্তীকরণ সূত্রের বাইরের কোষগুলো কিছুটা বড় ও ক্লোরোপ্লাস্টবিহীন থাকে। বর্ণহীন এ কোষগুলো থ্যালাসের উপরিভাগে একটি অসম্পূর্ণ ঊর্ধ্বত্বক (upper epidermis) গঠন করে। বর্ণহীন একসারি কোষ দিয়ে থ্যালাসের ঊর্ধ্বত্বক গঠিত।

সঞ্চয়ী অঞ্চল

থ্যালাসের ফটোসিনথেটিক অঞ্চলের নিচে এ অঞ্চল অবস্থিত। এ অঞ্চলটি কয়েক সারি বর্ণহীন প্যারেনকাইমা কোষ দ্বারা গঠিত এবং সাধারণত আন্তকোষীয় ফাঁক বিবর্জিত। এ সকল কোষে প্রচুর শ্বেতসার কণা সঞ্চিত থাকে।

নিম্নত্বক

একসারি কোষ দিয়ে নিম্নত্বক গঠিত। নিম্নত্বক সুগঠিত। নিম্নত্বক থেকে বহু এককোষী রাইজয়েড ও বহুকোষী শল্ক বা স্কেল নির্গত হয়। রাইজয়েড দুই ধরনের; যথা- মসৃণ ও অমসৃণ।

Riccia সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন-

Riccia-র বাহ্যিক গঠন বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর