এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব কি?

এসিড বৃষ্টি পানি, মাছ, উদ্ভিদ, পাথর, ইস্পাত, পেইন্ট এবং সর্বোপরি মানুষের উপর নিক্ষেপ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

  • এসিড বৃষ্টির কারণে পুরাতন ভাস্কর্যের অতি মূল্যবান মার্বেল পাথর, চুনাপাথর, প্লেট পাথর ও বালি-পাথর প্রকৃতি অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে কর এবং সাথে সাথে যান্ত্রিক শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে। গ্রীস এবং ইতালিতে ইতোমধ্যে অনেক পুরাকীর্তি এসিড বৃষ্টির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। ভারতের পরিবেশবিদদের ধারণা এসিড বৃষ্টির হাত থেকে তাজমহলকে বাঁচানোর এখনই ব্যবস্থা না নিলে অদূর ভবিষ্যতে এর ব্যাপক সৌন্দর্যহানি ঘটবে।
  • এসিড বৃষ্টির কারণে মাটির অণুজীব ও অন্যান্য প্রাণিকূলের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে অণুজীব কর্তৃক নাইট্রোজেন স্থিরকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে মাটির রাসায়নিক সংযুক্তি পরিবর্তিত হওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব কি?
এসিড বৃষ্টির pH 3 এর আশেপাশে হয়। বাতাসে নাইট্রোজেন এবং সালফারের অক্সাইড বেড়ে গেলে এসিড বৃষ্টি হয়।
  • বীজের অংকুরোদগম হ্রাস পাবে এবং সদ্য অংকুরোদগত উদ্ভিদের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে সালোকসংশ্লেষণ না করতে পারায় উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটবে না।
  • এসিড বৃষ্টির কারণে মাটির pH হ্রাস পাবে। ফলে চাষাবাদ ব্যাহত হবে।
  • এসিড বৃষ্টির কারণে জলরাশির রাসায়নিক সিস্টেম আক্রান্ত হবে। অম্লতা বৃদ্ধির কারণে পানির ক্ষারকত্ব হ্রাস পায় ফলে ধাতুসমূহের প্রবাহতা কমে যাবে।
  • জলজ পরিবেশের প্রাণীকূলের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এককোষী ক্ষুদ্র প্রাণী ও উদ্ভিদ জন্মাতে না পারার কারনে মাছের খাদ্যের অভাব দেখা দিবে।
  • এসিড বৃষ্টি ক্ষয়কারী হওয়ায় ইস্পাত, দস্তা, তৈল-রং এবং যানবাহনের আবরক রং ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
  • এসিড বৃষ্টির কারণে মানুষের ফুসফুস, ত্বক, চুল প্রভৃতি আক্রান্ত হবে। এ ধরনের বৃষ্টিতে উপস্থিত ভারী ধাতু মানব স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পানীয় জলে অম্লতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভারী ধাতুর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জনস্বাস্থ্য বিঘ্নিত হবে।

দূষণ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্ন-

মানব স্বাস্থ্যের উপর মাটি দূষণের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

সিসা দূষণের ফলে মানব দেহে কি রোগ হয়?

কিভাবে পানি দূষণ রোধ করা যায়?