মানুষের উপর পার্টিকুলেট এর প্রভাব।
পার্টিকুলেট দুই ধরনের হয়। যেমন-
১। ধাতব পার্টিকুলেট এবং
২। অধাতব পার্টিকুলেট ।
ধাতব পার্টিকুলেটের মধ্যে লেড, মারকারি, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, বেরিলিয়াম, কোবাল্ট ইত্যাদি মানুষের স্বাস্থ্যের উপ মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন
১। লেড
- এটি বয়স্কদের চেয়ে শিশুদের উপর বেশি প্রভাব বিস্তার করে। বয়স যত কম হবে প্রভাব তত বেশি হবে যেমন শিশুদের কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়।
- রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়।
- শ্রবণ শক্তি হ্রাস পায়।
- শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দেয়।
২। বেরিলিয়াম
- বেরিলিয়াম এবং তার যৌগসমূহ ফুসফুসের জ্বলন সৃষ্টি করে।
- এটি ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
৩। কোবাল্ট
এটি ফুসফুসের রোগ সৃষ্টি করে।
৪। ক্যাডমিয়াম
এটি মানুষের মধ্যে হৃদরোগ এবং হাইপার টেনশন সৃষ্টি করে। জিংক এবং কপারের পরিপাকে বাধা সৃষ্টি করে।
৫। মারকারি
সামান্যতম মারকারি মানুষের শরীরে
- অস্থিরতার সৃষ্টি করে।
- অনিদ্রা, মাথা ব্যথার সৃষ্টি করে।
- অনুভূতি ও আবেগের পরিবর্তন ঘটায়।
মানুষের উপর অধাতব পার্টিকুলেটের প্রভাব (Effect of non-metal particulate on human beings)
বিভিন্ন ধরনের অ-ধাতব পার্টিকুলেট মানুষের শরীরে যে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে তার বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলো :
- অতি ক্ষুদ্র কার্বন কণা নাক গলা এবং শ্বাসনালিতে জমা হয়ে অস্থিরতার সৃষ্টি করে।
- অ্যাসবেস্টস দূষক ফুসফুস ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
- সিলিকা (SiO2) সম্বলিত ধুলা ‘সিলকোসিস’ নামের দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস রোগের সৃষ্টি করে।
- এসিড এবং অ্যালডিহাইড পার্টিকুলেট নাক চোখ এবং গলার জ্বলন সৃষ্টি করে।
- ফরমাল ডিহাইড মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড বিষাক্ত এটি শৈল্পিক ঝিল্পিকে আক্রমণ করে এবং শ্বাসনালির সংকোচন ঘটিয়ে কাশি এবং শ্বাস কষ্টের সৃষ্টি করে।
- কয়লার খনিতে যারা কাজ করে তাদের ‘ব্লাক লাঞ্জ’ রোগ বস্ত্র শিল্পে যারা কাজ করে তাদের ‘হোয়াইট লাভ’ রোগ দেখা দেয়।
- অদ্রবণীয় পার্টিকুলেটস সরাসরি ফুসফুসে জমা হয়ে এর ক্রিয়া ক্ষমতা হ্রাস করে।
- অতি ক্ষুদ্র কার্বন কণা নাক গলা এবং শ্বাসনালিতে জমা হয়ে অস্তিরতার সৃষ্টি করে।
দূষণ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্ন-
মানব স্বাস্থ্যের উপর মাটি দূষণের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
সিসা দূষণের ফলে মানব দেহে কি রোগ হয়?
রাসায়নিক সার কী? নাইট্রোজেন গঠিত রাসায়নিক সারের ক্ষতিকর প্রভাব আলোচনা কর।