C4 উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য কি?
১। C4 উদ্ভিদ প্রচণ্ড আলোতে অর্থাৎ 30-45°C তাপমাত্রাযুক্ত অঞ্চলে বেশি জন্মায়। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের একবীজপত্রী উদ্ভিদ এবং বেশ কিছু দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদেও C4 চক্র দেখা যায়।
২। C4 উদ্ভিদ উচ্চ তাপমাত্রায় সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে।
৩। এরা পানির অপচয় কম করে এবং শুষ্ক অঞ্চলেও অভিযোজিত।
৪। বান্ডলসীথ কোষ ও মেসোফিল কোষে অনেক প্লাজমোডেজমাটা থাকে।
৫। C4 উদ্ভিদের পাতার বান্ডলসীথ কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে।
৬। বান্ডলসীথের কোষগুলো ভাঙ্গুলার বান্ডলের সাথে অরীয়ভাবে অবস্থান করে।
৭। বান্ডলসীথের মাঝে যে ক্লোরোপ্লাস্ট দেখা যায়, তাতে গ্রানা অনুপস্থিত কিন্তু মেসোফিল কোষে উন্নত প্রকৃতির গ্রানা বিদ্যমান। যেমন-ইক্ষু উদ্ভিদের পাতা।
৮। C4 উদ্ভিদের মেসোফিল কোষে রাইবুলোজ বিসফসফেট কার্বোক্সিলেজ নামক এনজাইমের কার্যকারিতা অনুপস্থিত।
৯। NADP ম্যালিক অ্যাসিড এনজাইমের উপস্থিতিতে বান্ডলসীথ ক্লোরোপ্লাস্টে C4 চক্র পরিচালনার প্রয়োজনীয় বিপাকীয় শক্তি NADPH + H+ উৎপাদিত হয়।
১০। বান্ডলসীথের ক্লোরোপ্লাস্টে প্রচুর স্টার্চ দানা থাকে কিন্তু মেসোফিল ক্লোরোপ্লাস্টে স্টার্চ দানা থাকে না।
১১। রুবিস্কো এনজাইম মেসোফিলে থাকে না, বান্ডলসীথে অবস্থান করে।
১২। C4 উদ্ভিদে আলোকশ্বসন প্রায় অনুপস্থিত এবং সহজে শনাক্ত করা যায় না। তাই সালোকসংশ্লেষণে উৎপাদিত শর্করার অপচয় কম হয়।
একই ধরনের অন্যান্য প্রশ্ন-