বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণগুলো উল্লেখ কর।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ হলো মানবজাতির বিবিধ ক্রিয়াকলাপের ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া। নিম্নে বিভিন্ন গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করা হলো

১। পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য কলকারখানা রয়েছে যেখানে কয়লা, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়াচ্ছে, ফলে বিপুল পরিমাণ CO2 SOx, NOx সহ অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত গ্যাস তাদের চিমনির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করছে এবং এরা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে।

২। মোটর গাড়ি ও কলকারখানাগুলোকে খনিজ তৈল ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক দহন এবং দাবানলের ফলে বায়ুমণ্ডলে ক্রমাগত CO2 এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৩। ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে CO2 এর পরিমাণ বেড়েই চলছে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে আমরা নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছি।

৪। ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জ্বালানি হিসাবে কয়লা, কাঠ, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বায়ুমণ্ডলে CO2 এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৫। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক দহন ও কৃষি জমিতে অত্যধিক পরিমাণে নাইট্রোজেন ঘটিত সার ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৬। সমগ্র বিশ্বের কোটি কোটি পরিবহন গাড়ি, রেল এবং উড়োজাহজ যে ডিজেল, পেট্রোল ব্যবহার করছে তা থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ CO2 SOx, NOx উৎপন্ন হচ্ছে ।

৭। প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দাবানল প্রচুর পরিমাণে CO2 বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দিচ্ছে যা পরে বৈশ্বিক উষ্ণায়নে প্রভাবিত করছে।

৮। ইলেকট্রনিক শিল্প, রং শিল্প, প্রসাধনী শিল্প ও হিমায়নের কাজে ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এগুলো অধিক পরিমাণে উৎপাদিত হচ্ছে এবং স্বভাবতই বায়ুমণ্ডলে সি এফ সি এর পরিমাণ বেড়েই চলছে।

৯। ধান ক্ষেত, কর্দমাক্ত, জলাভূমি, গবাদি পশুর মলমূত্র, পচা জৈব আবর্জনা ইত্যাদি থেকে নিঃসৃত মিথেন গ্যাসের পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।