ছত্রাকের অযৌন জনন (Asexual Reproduction) বর্ণনা কর।

ছত্রাকের অযৌন জননের প্রধান প্রক্রিয়া হলো স্পোর উৎপাদন প্রক্রিয়া। অযৌন স্পোর প্রধানত দু’প্রকার; যথা-

  • স্পোরাঞ্জিওস্পোর ও
  • কনিডিয়া।

ছত্রাকের স্পোর উৎপাদন অঙ্গকে স্পোরাঞ্জিয়াম (বহুবচনে স্পোরাঞ্জিয়া) বলে। স্পোরাঞ্জিয়ামের অভ্যন্তরে স্পোর উৎপন্ন হলে তাকে স্পোরাঞ্জিওস্পোর বলে। স্পোরাঞ্জিওস্পোর দু’ধরনের

  1. জুম্পোর ও
  2. অ্যাপ্ল্যানোস্পোর।

স্পোরাঞ্জিওস্পোরের সাথে ফ্ল্যাজেলা যুক্ত থাকলে তাকে জুম্পোর বলে; যেমন- Saprolegnia এবং স্পোরাঞ্জিওস্পোর যদি ফ্ল্যাজেলাবিহীন হয় তবে তাকে অ্যাপ্ল্যানোস্পোর বলে।

প্রজাতির উপর নির্ভর করে প্রতিটি স্পোরাঞ্জিয়ামে অ্যাপ্ল্যানোস্পোরের সংখ্যা ১ থেকে একাধিক হতে পারে; যেমন-Mucor। কনিডিওফোর নামক বিশেষ হাইফার মাথায়ও স্পোর উৎপন্ন হতে পারে, এরূপ স্পোরকে কনিডিয়া বলা হয়।

স্পোর পুরু আবরণ দিয়ে আবৃত থাকলে তাকে ক্ল্যামাইডোস্পোর বলে; যেমন-Mucor, Fusarium। স্পোরগুলো উপযুক্ত পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়ে স্বতন্ত্র ছত্রাক উদ্ভিদের জন্ম দেয়। Saprolegnia-তে জুস্পোরের মাধ্যমে অযৌন জনন হয়।

ছত্রাকের হাইফাগুলো প্রন্থপ্রাচীর সৃষ্টির মাধ্যমে ছোট ছোট খন্ডে বিভক্ত হয়। ঐ সকল খন্ডকে অয়ডিয়া (oidia) বলে। অয়ডিয়া স্পোরের ন্যায় আবরণ তৈরি করে অংকুরোদগমের দ্বারা নতুন ছত্রাক দেহ গঠন করে; যেমন Coprinus togopus