ক্লিনিং মিশ্রণ কি?

H2SO4 ও K2Cr2O7 এর মিশ্রণই ক্রোমিক এসিড বা পরিষ্কারক মিশ্রণ বা ক্লিনিং মিশ্রণ নামে পরিচিত। সারা পৃথিবীব্যাপী ল্যাবরেটারিতে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত কাঁচসামগ্রী পরিষ্কারক হলো এ ক্লিনিং মিশ্রণ।

ক্লিনিং মিশ্রণ কীভাবে কাজ করে

সাধারণভাবে সকল গ্লাস সামগ্রীর জন্য ক্রোমিক এসিডই (H2SO4 ও K2Cr2O7 মিশ্রণ) সবচেয়ে কার্যকর পরিষ্কারক। পানিতে H2SO4 যোগ করে তাতে পরিমাণমতো K2Cr2O7 দ্রবণ মিশ্রিত করলে ক্রোমিক এসিড তৈরি হয়। ক্রোমিক এসিড জায়মান অক্সিজেন উৎপন্ন করে যা তীব্র জারণধর্মী। তাই এটি জারিত করে ময়লা বা দাগকে অপসারণ করে। ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভ্স পরে নিতে হয়।

K2Cr2O7 +H2SO4 → K2SO4 + Cr2(SO4)3 + H2O + [O]

ক্লিনিং মিশ্রণ প্রস্তুতি

একটি 250ml বিকারে 50mL পানিতে 5g K2Cr2O7 দ্রবীভূত করে তাতে অল্প অল্প করে 2M ঘনমাত্রার 50 mL H2SO4 মিশানো হয়। এতে তাপ উৎপাদী বিক্রিয়ায় দ্রবণ গরম হয়ে যায়। তাই কক্ষ তাপমাত্রায় শীতল করে রিঅ্যাজেন্ট বোতলে ভরে ব্যবহারের জন্য রাখা হয়। অনেক বার ব্যবহারের পর Cr2(SO4)3 এর কারণে মিশ্রণের বর্ণ সবুজ হয়ে গেলে এটি আর ভাল কাজ করে না ।

ল্যাব্রেটরির নিরাপদ ব্যবহার সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্ন-

প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কি?

মোলারিটি কি?

মোলার দ্রবণ এবং মোলাল দ্রবন এর মধ্যে পার্থক্য কি?