আর এন এর শ্রেণিবিন্যাস কর
বংশগত বৈশিষ্ট্য বহনের ভিত্তিতে RNA কে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- জেনেটিক RNA ও নন-জেনেটিক RNA।
১. জেনেটিক RNA বা gRNA: যেসব RNA জেনেটিক বস্তু বা বংশগতি বস্তু হিসেবে কাজ করে তাদের জেনেটিক RNA বা gRNA বলে। যেসব দেহে RNA থাকে, তাদের DNA থাকে না। (যেমন- TMV, HIV)। ‘gRNA এর প্রধান কাজ প্রোটিন তৈরি করা এবং কিছু ভাইরাসে (TMV) বংশগতি বস্তু হিসেবে কাজ করে।
২. নন-জেনেটিক RNA: যেসব RNA প্রোটিন সংশ্লেষণে অংশগ্রহণ করে কিন্তু সরাসরি বংশগতির কাজে অংশগ্রহণ করে না, তাদের : নন-জেনেটিক RNA বলে। যেমন- সকল আদিকোষ ও প্রকৃতকোষের RNA।
নন-জেনেটিক RNA আবার চার প্রকার। যথা-
i. বার্তাবহ RNA বা mRNA: যেসব RNA জিনের সংকেত অনুযায়ী প্রোটিন সংশ্লেষণের ছাঁচ হিসেবে কার্যকর হয়ে নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড অনুক্রম বাছাই করে, তাদেরকে মেসেঞ্জার RNA বা বার্তাবহ RNA বলে। DNA থেকে ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে mRNA সৃষ্টি হয়। কোষের মোট RNA এর ৫-১০% mRNA ।
ii. tRNA বা ট্রান্সফার RNA: যেসব RNA জেনেটিক কোড অনুযায়ী একেকটি অ্যামিনো অ্যাসিডকে mRNA অণুতে স্থানান্তর করে প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে সেগুলোকে ট্রান্সফার RNA বা tRNA বলে। নিউক্লিয়াসের ভিতরে tRNA সৃস্টি হয়। প্রতিটি RNA-তে মোটামুটি ৭৫-৯০টি রাইবোনিউক্লিওটাইড অণু থাকে। কোষের প্রায় ১৫% RNA-ই tRNA।
iii. রাইবোসোমাল RNA বা rRNA: যেসব RNA রাইবোসোমের প্রধান গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে, তাকে রাইবোসোমাল RNA বলে। কোষের সমস্ত RNA-এর শতকরা ৮০-৯০% ই rRNA। কোষের রাইবোসোমে এদের অবস্থান।
iv. মাইনর RNA (Minor RNA): সাইটোপ্লাজমীয় RNA ও নিউক্লিও RNA নামে কিছু ক্ষুদ্র RNA রয়েছে যারা কোষে বিভিন্ন প্রোটিনের সাথে মিশে এনজাইমের কাঠামো দান করে, তাদের মাইনর RNA বলে।
আরও পড়ুন-ট্রান্সক্রিপশন কি?